রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:২৫

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
বরিশালে মানজু ও মজিদ বাহিনীর ২০ দস্যুর আত্মসমর্পণ

বরিশালে মানজু ও মজিদ বাহিনীর ২০ দস্যুর আত্মসমর্পণ

dynamic-sidebar

পিরোজপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়ে সুন্দরবনের দুই বাহিনীর প্রধানসহ ২০ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন। পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে বুধবার বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন তারা। আত্মসমর্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আত্মসমপর্ণকারীরা হলেন- মানজু বাহিনীর মো. মানজু সরদার (৪৪), জুলফিকার ইজারদার (৪৬), মো. বাচ্চু মলি¬ক (৩২), মো. তৌহিদুর রহমান শেখ (৫০), মো. রেজাউল ইসলাম (২৫), মো. পলাশ খান (৩৪), মো. সুময়ানমান ফকির (২৫), মো. জামরুল শেখ (৩০), মো. মজিব ইজারাদার (৩২), মো. হাওলাদার আলমগীর (৩৮) ও মো. হানিফ শেখ (৩২)। এ ছাড়া মজিদ বাহিনীর মো. তাকবির কাগচী মজিদ (৩৮), মো. হাসান বিশ্বাস (৩৯), মো. আবদুল মজিদ (৩০), মো. ইউনুছ শেখ (২৪), মো. হাফিজুল ইসলাম (৩২), মো. আফজাল খান (৩৫), মো. এসকেন খান (৪০), মো. হাসান আলী ইজারদার (৩২)ও মো. মোসা ইজাদ্দার (৩৩)। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল ও মংলা থানার বিভিন্ন এলাকায়।
এ সময় তারা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেন। জমা দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-১১টি বিদেশি একনলা বন্দুক, সাতটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, পাঁচটি ২২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, ছয়টি ওয়ান শ্যুটারগান ও চারটি কাটা রাইফেল। র্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীবের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এ আউয়াল, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম শেখ, পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মহারাজ, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন রক্ষা করতে যারা অন্তরায় হবেন, তাদের ভবিষ্যৎ খুবই খারাপ হবে। যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে সরকার সহযোগিতা করবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, র‌্যাবের মতো অন্য বাহিনীগুলোকেও আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করা হচ্ছে। যারা এখনও বিপদগামী আছেন, তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। তা না হলে তাদের নিয়তিতে কী আছে, তা আল্লাই ভালো জানেন। তিনি বলেন, ‘জলদস্যুদের কাছে যেসব অস্ত্র আছে, তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হলে জলদস্যুরা একজনও প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে না। এর প্রমাণ আমরা ইতোপূর্বে অনেকবার দেখেছি। বিশ্ব পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় সুন্দরবনকে কেউ অশান্ত করতে পারবে না।’ বুধবার (১ নভেম্বর) পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে সুন্দরবনের জলদস্যু মানজুর বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর ২০ সদস্যের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৮ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে রকম বন্ধু প্রতিম দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলাম, ঠিক তেমনি মিয়ানমারের রোহিঙ্গারাও আমাদের দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মায়ের মমতা দেখিয়েছেন। এ কারণে আজকে তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি পেয়েছেন। ’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতায় সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১৫ মাসে ১২টি দস্যু বাহিনীর ১৩২ জন আত্মসমর্পণ করেছে। তারা ২৪৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১২ হাজার ৫৯২ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এক লাখ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ২০ হাজার ও এক্সিম ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছে।’ র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ক্ষমতায়। এখানে কোনও দস্যুদের ঠাঁই নাই। কোনও গডফাদার ও কোনও গড মাদার তাদের আশ্রয় দিতে পারবে না।’ র‌্যাব-৮ এর পরিচালক হাসান ইমন আল রাজীব বলেন, ‘র‌্যাবের অভিযানে জলদস্যুদের মনোবল ভেঙে যাবার কারণে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ২০১৬ সালের মে মাসে তারা আত্মসমর্পণের আবেদন জানায়। ইতোমধ্যে ১২টি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জলদস্যু বাহিনীর আজকের এই আত্মসমর্পণ।’ আত্মসমর্পণ করা জলদস্যু মানজু বাহিনীর প্রধান মানজুর সরদার বলেন, ‘আমরা আর কখনও অন্ধকার জীবনে পা দেবো না। পরিবার-পরিজন নিয়ে একসঙ্গে থাকতে চাই।’ যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি তাদের তিনি আত্মসমর্পণ করার অনুরোধ জানান।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net